ভাসছি অনিশ্চিত নহরে
মাহফুজা আরা পলক
আমি দাঁড়িয়ে আছি এমন একটি অনিশ্চিত স্রোতস্বিনী নহরে,
যার গায়ে ঘুণে ধরা বর্তমান সাঁতার কাটে।
সাম্যবাদ নিরাপদ রোয়াকে বসে,
তসবিহ জপে সমাজের সনে সামঞ্জস্য বিধানের।
নহরের তীরে নিঃসঙ্গ দাঁড়িয়ে থাকা
বৃক্ষ শাখায় বসা লক্ষ্মী পেঁচটাও
বিভাবরীর আঁধারে
ঘাপটি মেরে গুপ্তচর হয়ে বার্তা হাঁকে,
ধূর্ত শিয়াল মামাদের নোংরা ষড়যন্ত্রের।
শিশু কিশোরের কৈশোর বেলা,
অপহরণ করে মুঠোফোন নামক ছেলেধরা।
মুষ্টিমেয় মেধা পাচার হয় জাহাজে করে সাত সমুদ্রের ওপারে।
তবুও আমার দেশের উর্বর ভূমিতে শ্রমে ও ঘামে
জৈবসার প্রস্তুত করব অবশিষ্ট খোসা গুলো থেকে।
যৌবনের গান ওঠেনা কোন কন্ঠে,
নেশায় অচেতন -রঙিন স্বপ্নের বেড়ি পরে
আবাস গড়ে ভার্চুয়াল জগতে।
আদর্শের জাবর কেটে চোয়াল হয়েছে কেবল ক্লান্ত,
স্রোতস্বিনী নহরও আজ
ক্রমাগত ঘুণে ধরা সমাজের বোঝা বয়ে শ্রান্ত।
আদর্শের কান্ডারির সঙ্গ- তুমি ভয় কেন কর সমাজ?
বোঝার চাপে নহর ফুঁড়ে আবির্ভূত হবে এক স্বরাজ।
বিভাসিত হবে এবার বীরের বেশে এমন তীরন্দাজ,
যার তীক্ষ্ণ দৃষ্টির লক্ষ্যে বধ হবে সকল লুটতরাজ।।
লেখিকা: মাহফুজা আরা পলক
পেশা: প্রভাষক, কিশোরগঞ্জ মডেল কলেজ।