নিজস্ব সংবাদদাতা: কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জে র্যাব-১৪ এর সিপিসি-২, কিশোরগঞ্জ ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল দুইটি পাইপগান, চার রাউন্ড কার্তুজ ও পাঁচটি রামদাসহ দুর্ধর্ষ ডাকাত মো. ওমর ফারুখ ওরফে কানা ফারুখ (৩০) কে আটক করেছে।
শনিবার (১৪ নভেম্বর) দিবাগত রাত পৌনে ১টার দিকে উপজেলার কান্দাইল এলাকার মানিকজুড়ি বিল থেকে তাকে আটক করা হয়। র্যাব-১৪ এর সিপিসি-২, কিশোরগঞ্জ ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার লে. কমান্ডার এম শোভন খান, বিএন এই অভিযানে নেতৃত্ব দেন।
আটক হওয়া মো. ওমর ফারুখ ওরফে কানা ফারুখ জেলার কটিয়াদী উপজেলার সহশ্রাম ধূলদিয়া ইউনিয়নের শিমুলতলী গ্রামের মৃত তাহের আলীর ছেলে।
র্যাব-১৪ এর সিপিসি-২, কিশোরগঞ্জ ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার লে. কমান্ডার এম শোভন খান, বিএন জানান, র্যাব-১৪, সিপিসি-২, কিশোরগঞ্জ ক্যাম্প গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, কটিয়াদী থানার চিহ্নিত ডাকাত মো. ওমর ফারুখ ওরফে কানা ফারুখ করিমগঞ্জ উপজেলার কান্দাইল এলাকায় অবস্থান করছে এবং সেখান থেকে নিয়মিতভাবে হাওরে চাঁদাবাজি, দস্যুতা, সাধারণ জেলেদের মাছ ও জাল কেড়ে নেওয়া এবং গরু চুরিতে অংশগ্রহণ করছে।
এই তথ্যের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য চিহ্নিত এই ডাকাতকে গ্রেপ্তারের জন্য র্যাবের নিরবচ্ছিন্ন গোয়েন্দা নজরদারী চালানো হয় এবং তথ্যের সত্যতা পাওয়া যায়।
এরই প্রেক্ষিতে জানা যায় যে, কতিপয় ডাকাত সদস্য ডাকাতির প্রস্তুতির জন্য কান্দাইল এলাকার মানিকজুড়ি বিলে জড়ো হয়েছে।
এই তথ্যের ভিত্তিতে শনিবার (১৪ নভেম্বর) দিবাগত রাত পৌনে ১টার দিকে করিমগঞ্জ উপজেলার কান্দাইল এলাকার মানিকজুড়ি বিলে র্যাব-১৪ এর সিপিসি-২, কিশোরগঞ্জ ক্যাম্পের একটি অপারেশনাল টিম অভিযান পরিচালনা করে।
অভিযানে চিহ্নিত ডাকাত মো. ওমর ফারুখ ওরফে কানা ফারুখকে আটক করা হয় এবং বাকি ডাকাত দলের সদস্যরা নদীতে ঝাঁপ দিয়ে পালিয়ে যায়। সেখান থেকে দুইটি পাইপগান, চার রাউন্ড কার্তুজ ও পাঁচটি রামদা উদ্ধার করা হয়।
র্যাবের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে দীর্ঘদিন যাবৎ হাওর এলাকায় ডাকাতি করে আসছিল বলে স্বীকার করেছে।
এ বিষয়ে তার বিরুদ্ধে করিমগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।