নিজস্ব সংবাদদাতা: কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে বখাটেদের হাত থেকে বোনকে বাঁচাতে প্রাণ দিলেন বড় ভাই আলম মিয়া (২২)। ঘটনাটি ঘটেছে কুলিয়ারচর উপজেলার গোবরিয়া আব্দুল্লাহপুর ইউনিয়নের লক্ষীপুর গ্রামে। শনিবার (১১ নভেম্বর) ভোরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আলমের মৃত্যু হয়।
নিহত আলম মিয়া কুলিয়ারচর উপজেলার গোবরিয়া আব্দুল্লাহপুর ইউনিয়নের কৃষক খুর্শিদ মিয়ার পুত্র। আলম নারায়নগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জে একটি পলিটেকনিক্যাল ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী বলে জানা যায়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার (০৯ ডিসেম্বর) বিকেলে নিহত আলম মিয়া পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বাড়ি লক্ষ্মীপুর সিদ্দিরমোড় এলাকায় ওয়াজ মাহফিলে যান। সেখান থেকে ওয়াজ শুনে বাড়ি ফেরার পথে লক্ষ্মীপুর পূর্বপাড়া এলাকায় স্থানীয় বখাটে রকি ও শাওনসহ বেশ কয়েকজন আলম মিয়ার ছোট বোনকে উত্ত্যক্ত করা শুরু করে। এসময় আলম প্রতিবাদ করতে গেলে বখেটেদের সাথে আলমের ধস্তাধস্তি শুরু হয়। এক পর্যায়ে বাঁশ নিয়ে আলমের মাথায় সজোরে আঘাত করলে আলম মাটিতে লুটে পড়ে।
হামলায় আলম গুরুতর আহত হলে স্থানীয় এলাকাবাসীদের সহায়তায় চিকিৎসার জন্য বাজিতপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে সেখান থেকে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজে রেফার্ড করেন। পরে শনিবার (১১ ডিসেম্বর) সকালে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আলম মিয়ার মৃত্যু হয়।
নিহত আলমের ভগ্নিপতি মোঃ সুজন মিয়া এ ঘটনার বাদী হয়ে রকি-শাওনসহ অজ্ঞাতনামা আরোও ৩-৪ জনকে আসামী করে কুলিয়ারচর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। ঘাতক রকি লক্ষীপুর পূর্বপাড়া গ্রামের মোঃ কামাল মিয়ার পুত্র ও শাওন একই গ্রামের আঙ্গুর মিয়ার পুত্র।
এ ঘটনায় কুলিয়ারচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আলমের ভগ্নিপতি ২ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও তিনজনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ আসামিদের গ্রেফতার করতে অভিযানে নেমেছে। আশা করি যত দ্রুত সম্ভব আসামিদের গ্রেফতার করা হবে।