নিশি রজনীগন্ধা
তোফায়েল আহমেদ তুষার
****************
দিন শেষে পৃথিবীর বুকে যখন নামে সন্ধ্যা
শহর জুড়ে ফোটে তখন নিশি রজনীগন্ধা।
চোখে কাজল, ভারী মেকাপ, ঠোটে লিপস্টিক
অঙ্গে তাহার রঙ্গিন শাড়ি, চলে এদিক ওদিক।
এই শহরে সন্ধ্যা নামে যান্ত্রিকতার ইতি টেনে
ফুলগুলো পাপড়ি মেলে আলো আধারের মাঝখানে।
চোখের মাঝে স্বপ্ন তাদের শুধুই ভেসে চলে
সাজানো ঘর, মায়ার সংসার রেখে এসেছে ফেলে।
ওরাও মানুষ, মানুষের রূপে এই ধরণীর বুকে
মানুষ রূপী হায়েনার দল সুখ খুঁজে বুনো ফুল চিবুকে।
নষ্ট শহরের, নষ্ট গলিতে ওরা নর্দমার ফুল
জীবন খাতার হিসেবের পাতায় পায়না তারা কূল।
নিশি শেষে আসে ভোর, কাটে না নিশির ঘোর
চোখে তার তন্দ্রা তখনও, জীবন বিষাদের সুর।
শরীর দিয়ে শরীরী খেলায় দিয়ে যায় তারা সুখ
দিনের শেষে এরাই তখন ধরণীর ঘৃণিত মুখ।
জীবন যুদ্ধে মিলায় যখন জীবনের হিস্যা
ভদ্র সমাজ দিয়েছে নাম এরাই রাতের বেশ্যা।
রাতের আধারে বেশ্যার বুকে সুখ খুঁজে যেইজন
দিনের আলোতে ভদ্র বেশে ঘুরে বেড়ায় সেইজন।
ভদ্র সমাজ, নষ্ট মানুষ, মুখে নীতির বুলি
আসুন সবাই একসাথে জীবনের পথে চলি।
ধিক জানাই শত ধিক ওহে ভদ্র সমাজ
তোমাদের দ্বারা হবেনা জানি সমাজ গঠনের কাজ।
এই শহরে নামবে প্রতিদিন সাদা কালো সন্ধ্যা
নষ্ট শহরে নষ্ট গলিতে আবার ফুটবে নিশি রজনীগন্ধা।