ভিশন ডেস্ক: কিশোরগঞ্জের বিস্তীর্ণ হাওরাঞ্চলসহ আশপাশ এলাকায় ঝড়ো আবহাওয়ায় হঠাৎ শুরু হওয়া গরম বাতাসে বোরো ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে জনা যায়। কিশোরগঞ্জের ১৩টি উপজেলার ২৫ হাজার হেক্টর বোরো জমির ধান একইভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কৃষকের লালিত স্বপ্ন মাঠভরা সোনালী ফসল বিবর্ণ হয়ে পড়ায় এখন বিপর্যয়ের মুখে কৃষক।
গত রোববার (৪ এপ্রিল) সন্ধ্যা রাতের কালবৈশাখী ঝড় ও গরম বাতাসে কিশোরগঞ্জে হাওর উপজেলা ইটনা, মিঠামইন, অষ্টগ্রাাম, নিকলী, তাড়াইল, করিমগঞ্জ ছাড়াও কিশোরগঞ্জ সদর, হোসেনপুর, পাকুন্দিয়া ও কটিয়াদী উপজেলার বোরো ধানের ক্ষতি হয়েছে। এরমধ্যে ব্রিধান-২৮, ব্রিধান-২৯ সহ স্থানীয় জাতের ফুলধরা বোরো ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অফিস সূত্র জানায়, চলতি বছর জেলায় ১ লাখ ৬৫ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ করা হয়েছে এবং ফলনও অনেক ভাল। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৬ লাখ মেট্রিক টন।
ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকরা বলছেন, এর আগে কৃষকরা বিভিন্ন পোকা মাকরের আক্রমন শিলাবৃষ্টি, অতিবৃষ্টি- অনাবৃষ্টি কিংবা আগাম বন্যায় ক্ষতির সম্মুখীন হলেও গরম বাতাসে বোরো জমি নষ্ট হতে এই প্রথম দেখেছেন। জমিতে বোরো ধানের ফুল আসা গাছের শীষ শুকিয়ে নষ্ট হয়ে গেছে।
বিস্তীর্ণ বোরো জমিতে গরম বাতাসে এ রকম ক্ষতির সাথে অপরিচিত কৃষক বর্তমানে দিশেহারা।
কিশোরগঞ্জের ১৩ উপজেলায় ২৫ হাজার হেক্টর বোরো জমি আক্রান্ত হয়েছে জানিয়ে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর উপ-পরিচালক কৃষিবিদ সাইফুল ইসলাম বলেন, আগামী কয়েকদিনের মধ্যে চূড়ান্ত প্রতিবেদন তৈরি করে কৃষি মন্ত্রণালয়কে অবহিত করা হবে।
কিশোরগঞ্জ-৪ (ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম) আসনের সংসদ সদস্য রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক বলেন, ‘আমি কৃষি বিভাগকে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা তৈরির নির্দেশ দিয়েছি। তালিকা হাতে পেলে সহায়তা চেয়ে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।’
সূত্র: কিশোরগঞ্জ নিউজ