নিজস্ব সংবাদদাতা: মিথ্যা, মানহানিকর সংবাদ উপস্থাপন করে হেয় প্রতিপন্ন করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে কিশোরগঞ্জের হাওর উপজেলা অষ্টগ্রাম বন বিভাগের নার্সারী মালী ভুক্তভোগী মোঃ সিরাজ আলী।
সিরাজ আলী অষ্টগ্রাম উপজেলার মৃত মোঃ জনাব আলীর পুত্র। সে ময়মনসিংহ বন বিভাগের অধীনস্থ অষ্টগ্রাম উপজেলা নার্সারীতে মালী পদে গত ২৭ বছর যাবত সুনামের সাথে কাজ করে আসছে বলে স্থানীয়সূত্রে জানা যায়।
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী সিরাজ আলী ও তার পরিবার অভিযোগ করেন অষ্টগ্রাম উপজেলার কথিত সাংবাদিক মোঃ সুমন মিয়ার পিতার সাথে দীর্ঘদিন যাবত জমি ও পারিবারিক বিরোধ চলে আসছে। এরই জের ধরে সুমন মিয়া নাম সর্বস্ব পত্রিকা ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিথ্যা ভিত্তিহীন সংবাদ প্রচার করে আসছে। এতে সিরাজ আলী সামাজিকভাবে নানাভাবে হেয় প্রতিপন্ন হয়েছেন বলেও জানান ভুক্তভোগী সিরাজের পরিবার।
সিরাজ আলী সংবাদ সম্মেলনে আরোও অভিযোগ করেন, তাকে নানা সময়ে নানাভাবে সুমন মিয়া তার পিতা বাবুল মিয়া প্রাণ নাশের হুমকিসহ গুমের হুমকি দিয়ে আসছে। জমি বিরোধের জের ধরে চলতি বছরের ৩০ জানুয়ারী একটি নাম সর্বস্ব দৈনিক পত্রিকায় “বন বিভাগের গাছ চুরি দেখার কেউ নেই” শিরোনামে একটি ভিত্তিহীন সংবাদ প্রচার করে কথিত সাংবাদিক সুমন মিয়া। পরবর্তীতে ২ ফেব্রুয়ারি সাংবাদিক সুমনের উপর হামলা শিরোনামে আরেকটি সংবাদ প্রকাশ করে সুমন মিয়া। এরই প্রেক্ষিতে সিরাজ আলী ও তার পরিবার প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ স্বরুপ গত ২১শে ফেব্রুয়ারি দেশের একটি জাতীয় দৈনিকে প্রতিবাদলিপি ছাপায়।
সুমন মিয়া সিরাজ আলীর বিষয়ে বন ও পরিবেশ অধিদপ্তর মন্ত্রনালয়ের সচিব বরাবরও মিথ্যা ভিত্তিহীন অভিযোগ উপস্থাপন করে বলে জানান সিরাজ আলী। অভিযোগের প্রেক্ষিতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হলে তদন্তকারী কর্মকর্তা মোঃ বজলুর রহমান লিখিতভাবে জানান মোঃ সিরাজ মিয়া কোনো ধরনের গাছ পাচারের সাথে জড়িত নয়।
এ বিষয়ে সুমন মিয়ার সাথে যোগাযোগ করা হলে অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, আমি প্রকৃত ঘটনা তুলে ধরার চেষ্টা করেছি মাত্র।
অষ্টগ্রাম উপজেলা ভারপ্রাপ্ত বন কর্মকর্তা আবু নেসার আহাম্মদ ভূঞার সাথে এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এ বিষয়ে এলাকায় সালিশ বৈঠকও হয়েছে। আমি দুই পক্ষের সাথেই কথা বলে জানতে পেরেছি এটা সম্পূর্ণ একটি পারিবারিক দ্বন্ধ ও জমি সংক্রান্ত বিরোধ। এ বিষয়ে তদন্ত প্রতিবেদন প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। পারিবারিক বিষয়টি প্রাতিষ্ঠানিক বিষয়ে রূপান্তর করার বিষয়টি আসলে দুঃখজনক। আমরা এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
সংবাদ সম্মেলনে ভূক্তভোগী সিরাজ আলী এ বিষয়ে স্থানীয় এলাকাবাসী ও সচেতন মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করে সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন।