নিজস্ব সংবাদদাতা: কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রামে রিপন হত্যার বিচারের দাবিতে মানববন্ধনে পুলিশি বাঁধা ও ধাওয়া, পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার (১ এপ্রিল) সকালে অষ্টগ্রাম উপজেলা সম্প্রসারিত প্রশাসনিক ভবন গেইটের সামনে এ ঘটনাটি ঘটে।
বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে নিহত রিপন মিয়া হত্যাকান্ডের বিচারের দাবিতে স্থানীয় এলাকাবাসী মানববন্ধনের আয়োজন করলে অষ্টগ্রাম মডেল থানা পুলিশের ওসি তদন্ত আলী মোঃ রাশেদের নেতৃত্বে একটি দল মানববন্ধনে বাধা দিয়ে ব্যানার কেড়ে নেয়ার চেষ্টা করলে উপস্থিত জনতা বিক্ষুব্ধ হয়ে পুলিশের সাথে বাক বিতন্ডায় জড়িয়ে পরে। পরে উভয় পক্ষে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও ইট পাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। এ ঘটনায় কয়েকজন পুলিশসহ প্রায় ২০জন আহত হয়েছে।
এক পর্যায়ে মানববন্ধনে পুলিশ লঠিচার্জ করে একরামুল হক সাব্বির নামের এক ব্যক্তিকে আটক করে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে নিয়ে যায়। পরে বিক্ষুব্ধ জনতা আটককৃত একরামুল হক সাব্বিরকে ছেড়ে দেয়ার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সড়ক অবরোধ করে।
পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং স্থানীয় নেতৃবৃন্দের হস্তক্ষেপে একরামুল হক সাব্বিরকে ছেড়ে দেয়া হলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রফিকুল আলমের সাথে কথা বললে তিনি জানান, আজকের এই মানববন্ধনের কোনো অনুমতি ছিলো না। তাই পুলিশ এতে বাধা দিয়েছে। রিপন হত্যা মামলাটি বিচারাধীন বিষয়। আদালতে বিচার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। আটক সাব্বিরকে শর্ত সাপেক্ষে ছেড়ে দেয়া হয়।
অষ্টগ্রাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম মোল্ল্যা জানান, আমি আব্দুল্লাহপুর ইউনিয়নে স্থানীয় সাংসদের অনুষ্ঠানে থাকায় বিস্তারিত বলতে পারছি না।
উল্লেখ্য গত ২৪ মার্চ বুধবার রাতে সিগারেটের আগুন চাওয়াকে কেন্দ্র করে রিপন মিয়াকে হত্যা করা হয়। পরে ঘটনার দিন রাতেই ঘাতক বর্ষা সরকার ওরফে বাসু সরকারকে মিঠামইন উপজেলা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। হত্যাকান্ডের ঘটনায় গত ২৭ মার্চ শনিবার নিহতের মা মোছাঃ আহেদা বেগম বাদী হয়ে বসু সরকার ও মায়ারাম সরকারকে আসামী করে অষ্টগ্রাম মডেল থানায় মামলা নং- ০৬, তাং- ২৭/০৩/২০২১ইং দায়ের করেন।