ভিশন ডেস্ক: কিশোরগঞ্জে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও জন প্রশাসনমন্ত্রী প্রয়াত সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের ম্যুরাল ভাঙচুরের ঘটনায় পারভেজ (৪০) নামের এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (৩০ জুলাই) বিকালে শহরের আখড়া বাজার ব্রীজ এলাকা থেকে পারভেজকে গ্রেফতার করে কিশোরগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ।
গ্রেফতারকৃত পারভেজ কিশোরগঞ্জ জেলার ইটনা উপজেলার রায়টুটী গ্রামের মৃত শাহজাহান মিয়ার ছেলে। বর্তমানে শহরের শোলাকিয়ার বনানী মোড়ে নুর ইসলামের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন।
ম্যুরাল ভাঙচুরের ঘটনায়শুক্রবার (৩০ জুলাই) কিশোরগঞ্জ পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী মো. রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে সদর মডেল থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পরই অভিযান চালিয়ে পুলিশ পারভেজকে গ্রেফতার করে।
কিশোরগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক জানান, সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের ম্যুরাল ভাঙচুরের ঘটনায় জড়িত পারভেজ নামের একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়া এ ঘটনার একজন প্রত্যক্ষদর্শীও পাওয়া গেছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ম্যুরাল ভাঙচুরের কথা স্বীকার করেছেন পারভেজ। কী কারণে এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে তা জানতে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তবে যেখানে সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের ম্যুরাল নির্মাণ করা হয়েছে, সেখানে পারভেজের একটি অবৈধ টং দোকান ছিল। সেখানে মোটরসাইকেলের স্টিকার ও অন্যান্য সামগ্রী বিক্রি করতেন তিনি। পরবর্তীতে নরসুন্দা নদী খননের সময় অবৈধ স্থাপনাটি ভেঙে দিয়েছিলো প্রশাসন।
তিনি আরোও বলেন, পারভেজ যখন ম্যুরালটি ভাঙছিলেন, তখন সগড়া বিশ্বরোডের বাসিন্দা রাজমিস্ত্রি নয়ন ঘটনাটি দেখতে পান। তার বিবরণ অনুযায়ী পারভেজের স্বীকারোক্তির মিল পাওয়া গেছে।
উল্লেখ্য বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) রাতে ঘটনার খবর পেয়েই ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান কিশোরগঞ্জ-৪ (ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম) আসনের সংসদ সদস্য রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলম, পুলিশ সুপার মো. মাশরুকুর রহমান খালেদ বিপিএম (বার), জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট এম এ আফজল, পৌর মেয়র মাহমুদ পারভেজ ও কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আব্দুল কাদির মিয়া।
এছাড়া শুক্রবার (৩০ জুলাই) সকালে প্রয়াত সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের চাচাতো ভাই কিশোারগঞ্জে জলো আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বিসিবির পরিচালক সৈয়দ আশফাকুল ইসলাম টিটু ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অজয় কর খোকন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
