ভিশন ডেস্ক: জীবনযাপন স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে ফিরতে ২০২২ সালের আগেই পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন পাবেন, এমনটা প্রত্যাশা করবেন না। সফল ও কার্যকর একটি ভ্যাকসিন বাজারে আসলে তা যে সহসাই সবার কাছে পৌঁছাচ্ছে না এমন ইঙ্গিত দিয়ে মঙ্গলবার নিজের এমন ধারণার কথা বলেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা প্রধান বিজ্ঞানী সৌম্য স্বামীনাথন।
স্বামীনাথন বলেন, ডব্লিউএইচও’র নেতৃত্বে বিভিন্ন দেশের কাছে সমানভাবে ভ্যাকসিন সরবরাহ করার যে উদ্যোগ (কোভ্যাক্স ইনিশিয়েটিভ) নেয়া হয়েছে তাতে করে আগামী বছরের মাঝামাঝি পর্যন্ত কয়েক কোটি ভ্যাকসিন সরবরবাহ করা যাবে; এর মাধ্যমে ১৭০টি দেশ হয়তো কিছু সংখ্যক ভ্যাকসিন ডোজ পাবে।
২০২২ সালের শেষ নাগাদ হয়তো এই ভ্যাকসিন উৎপাদন ২০০ কোটিতে পৌঁছাবে। এর আগে সব দেশে অল্পসংখ্যক ভ্যাকসিন ডোজ পাবে; যা দিয়ে চাহিদা ক্ষুদ্র অংশ মেটানো সম্ভব। তাই সামাজিক দূরত্ববিধি মানা এবং মাস্ক না পরে যদ মানুষ চলতে থাকে তাহলে পরিস্থিতি এর আগে স্বাভাবিক হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
সৌম্য স্বামীনাথন বলেন, ‘হয়তো অনেকে ভাবছেন আগামী বছরের জানুয়ারি নাগাদ ভ্যাকসিন আসবে বাজারে এবং তা হলেই সবকিছু আবার স্বাভাবিক হবে। কিন্তু আপনি যা ভাবছেন তা হবে না। কারণ নিরাপদে মানুষের চলাচল নিশ্চিত করতে হলে সবার কাছে পৌঁছাতে হবে ভ্যাকসিন। আর এটা ২০২২ সালের আগে সম্ভব না।’
জাতিসংঘের স্বাস্থ্য বিষয়ক অঙ্গ সংস্থা ডব্লিউএইচ ‘র প্রধান বিজ্ঞানী আরও বলেন, ‘ভ্যাকসিন নিয়ে আমাদের সবচেয়ে ভালো মূল্যায়নটি হলো ২০২১ সালের মাঝামাঝি হয়তো এটা আসতে পারে। কারণ ২০২১ সালের শুরুতে আপনি কিছু সম্ভাব্য ভ্যাকসিনের ট্রায়ালের ফল জানতে পারবেন। এরপর মূল কার্যক্রম শুরু হবে।’
তবে চীন দ্রুতই ভ্যাকসিন বাজারে ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছে। মঙ্গলবার চীনের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্রের উ গুইঝেন জানিয়েছেন, এ বছরের নভেম্বর অথবা ডিসেম্বরের মধ্যে স্থানীয়ভাবে তৈরি ভ্যাকসিন চীনাদের কাছে সরবরাহ করা হবে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শিগগিরই ভ্যাকসিন আনার ঘোষণা দিয়েছেন।